November 13, 2025, 7:47 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে অবরোধ/সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে রাজবাড়ীতে থেমে থাকা বাসে কুষ্টিয়াগামী এসবি পরিবহনের ধাক্কা, আহত ১৫ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি দুর্নীতির মামলা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়লো আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে

বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি/কুষ্টিয়ায় বিএনপির সাথে সংঘর্ষে আহত জামাত কর্মীর মৃত্যু

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে জামাতের আয়োজিত একটি জনসভায় বিএনপি নেতা কর্মীদের হামলার ঘটনায় এক জামাত কর্মীর মৃত্যু হয়েছে।
নিহত ঐ জামাত কর্মীর নাম খোকন, ৩৪। তার বাড়ি মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামে। ঐ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। খোকন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কিছু দিন ধরে ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজনেই কমিটির আহবায়ক প্রার্থী ছিলেন। অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে জামায়াতের আমির মুকুলকে চাপ সৃষ্টি করছিলেন বিএনপি কর্মী নাসির। এ নিয়ে শনিবার রাতে মুকুলকে হুমকি দেন নাসির।
হুমকির প্রতিবাদে রোববার বিকাল ৩টার দিকে বুড়াপাড়া স্কুল মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ সময় বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হওয়ার একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের উদ্ধার করে ৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী।
কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরের নাম দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিএনপি নেতা নাসির তাকে নাম তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে সমাবেশ করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালান। হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ওসি জানান, তিনি এখনও লিখিত অভিযোগ পাননি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net