October 29, 2025, 12:39 am

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার আসামী ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে নেওয়া হয়েছে।
কারা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর কবির রাইজিংবিডি ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই ১৫ কর্মকর্তাকে বুধবার সকালে ৭টার পর ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
সকাল ১০টার দিকে কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে থাকা কারা কর্তৃপক্ষের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় এবং পরে ভ্যানটি ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।
এই তিন মামলায় মোট ২৫ জন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মামলাগুলোতে গুম-নির্যাতনের ঘটনাসহ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড অন্তর্ভুক্ত। ১১ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জানায়, ১৫ কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে একজন কর্মকর্তা অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) আছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১২ অক্টোবর ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে সাময়িক কারাগার হিসেবে ঘোষণা করে। সেনাবাহিনীর অনুরোধে ‘এমইএস বিল্ডিং নম্বর-৫৪’ সাময়িক কারাগার হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
কারাগারে পাঠানোর জন্য নাম উল্লেখিত ১৫ কর্মকর্তা হলেন:
মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. সারওয়ার বিন কাশেম, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম এবং মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম।