September 11, 2025, 7:47 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন: বিএনপির জন্য আত্মবিশ্লেষণের বার্তা ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

চাচা ও বন্ধুকে সাথে নিয়ে মাকে খুন, তিনজনই জেল হাজতে

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ার মিরপুরে সম্পত্তির জন্য মাকে হত্যার পর বস্তাবন্দী লাশ ডোবায় পুতে রেখে অপহরণ নাটক সাজান ছেলে। স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৩৪ দিন পর লাশ উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। নিহতের ছেলে মুন্না বাবু, চাচা আব্দুল কাদের ও বন্ধু রাব্বি আলামিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত ওই মায়ের নাম মমতাজ বেগম। বাড়ি মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের দক্ষিণ কাটদহ এলাকায়। পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, মমতাজ বেগমের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি একমাত্র ছেলে মুন্না বাবুর সঙ্গে বসবাস করতেন। তার ৩ মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। গত ২০ জানুয়ারী ছেলে মুন্না তার বন্ধু রাব্বি ও চাচা আব্দুল কাদের মিলে মমতাজকে হত্যা করে লাশ বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেয়। পরে ২১ জানুয়ারী ছেলে মুন্না বাবু মিরপুর থানায় মা অপহরণ হয়েছে এই মর্মে জিডি করেন। কেবল তাই নয় এরপর মুন্না তার বন্ধু রাব্বিকে অপহরণকারী সাজিয়ে তার দুলাভাইয়ের কাছে ফোন করিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। ডিবির ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, তদন্তে নেমে পুলশি জানতে পারে দুলাভাইয়ের যে নাম্বারে ফোন করা হয় তা মুন্না ছাড়া পরিবারের কেউ জানতেন না। আর ফোনটি এসেছিল রাব্বি আলামিনের নাম্বার থেকে। পরে ওই নাম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ রাব্বিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে সে সবকিছু স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তিতেই গতকাল সন্ধ্যায় বাড়ির পাশের ডোবা থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মায়ের সম্পত্তির লোভেই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে ছেলে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। পুলিশ জানায়, পরিবারের একটি টাকার ভাগের অংশ পান ভাই মুন্না, তিন বোন এবং মা মমতাজ। মায়ের ভাগের ওই টাকা এবং অবশিষ্ট সম্পত্তি নিয়ে নিতেই চাচা এবং বন্ধুকে সাথে করে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
পুলিশ সুপার জানান, হত্যার দিন দুপুরে চাচা আব্দুল কাদের রশি দিয়ে গলায় ফাঁস দেন। আর মুন্না ও রাব্বি মায়ের হাত-পা ধরেন। পরে মরদেহ খাটের নিচে রেখে তারা বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এরপর রাতে এসে বস্তায় ভরে পাশের ডোবায় মাটি খুড়ে নিচে চাপা দেন।
নিহতের ভাইয়ের করা মামলায় তিনজনকেই আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। এর মধ্যে ছেলে মুন্না ও বন্ধু রাব্বি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net