March 17, 2025, 1:30 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা, আহত ১৫ আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মৌসুমের প্রথম মৃদু তাপপ্রবাহ ১২ জেলায়, মধ্য মার্চে এমনটা কিছুটা অস্বাভাবিক আবরার হত্যা/২০ জনের মৃত্যুদন্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল যুগেরও বেশী সময়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন মাগুরায় আছিয়ার পরিবারকে ‘পাকা বাড়ি’ করে দিবে জামায়াত বড়দের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া যাবে না, ইউক্রেনকে ট্রাম্প মধ্য মৌসুমেই পড়তে থাকে দাম/ উৎপাদিত সবজির দামে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খরচ উঠছে না প্রান্তিক কৃষকদের প্রফেসর আরেফিন সিদ্দিক আর নেই নির্মম ধর্ষণের শিকার মাগুরার সেই শিশুটি না ফেরার দেশে

আশিকদের চায়ের দোকান বন্ধ, কিভাবে চলবে সংসার

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক: করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সরকারী ভাবে সকল মানুষকে যখন লকডাউনে থাকার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। ওই ঘোষণার বাইরে এতিম আশিক ও তার ভাই-বোনরাও নয়। এতিম কিশোর আশিকসহ ৪ ভাই-বোন দিনরাত চা বিক্রির পাশাপাশি স্কুলে লেখাপড়া চালিয়ে আসছিল।

লকডাউনের কারণে তাদের চা বিক্রি বন্ধ হয়েছে। কিন্তু পেট তো আর থেমে থাকে না। জনপ্রতিনিধিদেও মাধ্যমে একদিন কয়েক কেজি চাউল আর সামান্য সবজি পাওয়া গেলেও তাতে তো আর ৪ ভাই-বোনের সংসার চলবে না। তাই কিভাবে ৪ ভাই-বোনের পেট চালাবে এমনই চিন্তিত কিশোর আশিক। মায়ের পরপারে যাওয়া আর বাবার অন্য সংসার জীবন গড়ার কারণেই তাদের এমন হাল।

যে বয়সে লেখা-পড়া ও খেলা-ধুলা আর ছোটাছুটি করার কথা। সে বয়সে লেখা-পড়া করলেও সংসার চালানোর মতো সংগ্রামী জীবন নিয়ে বেঁচে আছি অশ্রুঝরা চোখে এমনটি বলছিল এতিম আশিক।

আশিক সাংবাদিকদের সাথে সাক্ষাতের সময় বলে, আমাদের মতো এমন এতিম যেনো কেউ না হয়।

প্রিয় পাঠক, এতোক্ষণ বলছিলাম। কিলোর আশিক ও তার ছোট ভাই-বোনের সংগ্রামী জীবনের কথা। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের কসবা গ্রামে (তাদের) আশিকদের বাড়ি।

বাবার নাম রাশিদুল ইসলাম। সে পেশায় দিন মজুর। আশিকদের মা গত ৪ বছর আগে স্ট্রোকে মারা যান। মা মারা যাওয়ার পর বাবা রাশিদুল বিয়ে করে অন্যত্রে চলে যান। আশিক বাবা-মায়ের বড় ছেলে। তার বয়স সবে মাত্র ১৩ বছর। মেজো ভাই মোস্তাকিনের বয়স ৯ বছর। সেজো কুলছুম খাতুনের বয়স ৮বছর ও ছোট ভাই রিয়াজের বয়স ৭ বছর। বড় ভাই আশিক তৃতীয় শ্রেণীতে লেখা-পড়া করে। মোস্তাকিন ও কুলছুম প্রথম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। ছোট ভাই রিয়াজ শিশু শ্রেণীর ছাত্র। তারা সবাই কসবা ডিপিবি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষাথর্ী।

আশিকদের নানা বাড়ি একই উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামে। আশিকসহ ৪ভাই-বোন এখন দাদার বাড়ি কসবা গ্রামে থাকে। দিন মজুর দাদা-ও গৃহিনী দাদি বেঁচে থাকলেও তারা বয়সের ভারে কাজ করতে পারে না।

স্থানীয়রা জানান,গ্রামের লেকজন আশিককে কিছু টাকা দিয়ে বাড়ির পাশে একটি চায়ের দোকান দিয়ে দেয়। আশিক চা বিক্রির পাশাপাশি স্কুলেও যায়। তার চা বিক্রির কাজে আরো তিন ভাই-বোন সহযোগিতা করে। দাদা বৃদ্ধ তাই তাদের পাশে বসে মানসিক শক্তি যোগায়। ইতোপূর্বে তাদের এ কষ্টের কথা শুনে কয়েকটি সংগঠন ও ব্যক্তি সহযোগিতাও করেছিল। বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউনে থেকে তাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net