December 6, 2024, 11:19 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আরও ১০ জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। এই জেলাগুলোর তালিকায় অন্যতম হলো কুষ্টিয়া।
ঝুঁকিপূর্ণ অন্যজেলাগুলো হলো গাজীপুর, রাজশাহী, যশোর, বগুড়া, দিনাজপুর, রাঙামাটি, লালমনিরহাট, খাগড়াছড়ি, পঞ্চগড়। এর আগে ১২ জানুয়ারি ঢাকা ও রাঙামাটি জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
ঢাকা ও রাঙামাটির পর এই জেলাগুলো চিন্থিত করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির তথ্যে দেখা যায়, রাজধানীতে করোনা সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ১১ এবং রাঙামাটিতে করোনা সংক্রমণের হার ১০ দশমিক ৭১। করোনার মধ্যম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর সংক্রমণ ৫-১০ শতাংশের মধ্যে। আর কম ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলোর করোনা শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে।আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা।
দেশে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৯৮।
২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। ওই বছরের ১৮ মার্চে প্রথম মৃত্যু হয়। এখন পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৬ লাখ ৩২ হাজার ৭৯৪ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৮ হাজার ১৬৪ জনের। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৫৩ হাজার ৭৯৫ জন। সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪৭৫ জন সুস্থ হয়েছেন।
কুষ্টিয়া/
কুষ্টিয়াতে এখন পর্যন্ত ১৯০৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭৮৯ জনের। গতকালও জেলায় পরীক্ষা বিবেচনায় আক্রান্তের হার ছিল ২৩.৫২ শতাংশ।
জেলায় সবথেকে ঝুঁকিতে রয়েছে সদর উপজেলা। অদ্যাবধি সদরে আক্রান্ত হয়েছে সর্বমোট ৯১০৪ জন। শুধু সদরেই মৃত্যু হয়েছে ৩৮৯ জনের। আক্রান্তের দিক থেকে সদরের পরই রয়েছে কুমারখালী উপজেলা। সেখানে আক্রান্তের পরিমাণ ২৬৬৫।
অন্যদিকে মৃত্যুর দিক থেকে জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছে মিরপুর। সেখানে মারা গেছে ১১৬ জন।
কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম জানান সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনগনের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিং করা হয়েছে। বিভিন্ন সেক্টরের মধ্যে সমন্বয় সভা করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করা হয়েছে। তিনি জানান মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে।
Leave a Reply