March 18, 2025, 8:22 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
দেশে খাদ্যের মজুত বৃদ্ধিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত কারন এডিপি কাটছাঁট/বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম আঞ্চলিক বৈষম্য হ্রাসের লক্ষ্য/কুষ্টিয়ায় ৭,০০০ কোটি টাকার অর্থনৈতিক অঞ্চল কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ও এনসিপি নেতাকর্মীদের ওপর দফায় দফায় হামলা, আহত ১৫ আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মৌসুমের প্রথম মৃদু তাপপ্রবাহ ১২ জেলায়, মধ্য মার্চে এমনটা কিছুটা অস্বাভাবিক আবরার হত্যা/২০ জনের মৃত্যুদন্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল যুগেরও বেশী সময়ের ধারাবাহিকতা ধরে রেখে এবারও ফরিদপুরে পেঁয়াজ বীজের বাম্পার ফলন মাগুরায় আছিয়ার পরিবারকে ‘পাকা বাড়ি’ করে দিবে জামায়াত বড়দের সঙ্গে পাঙ্গা নেওয়া যাবে না, ইউক্রেনকে ট্রাম্প

আজ পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আজ বাংলাদেশের ইতিহাসে এক বিভীষিকাময় ও শোকাবহ দিন। ১৬ বছর পর এ দিবসটি আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি ভিন্ন পরিবেশে প্রথমবারের মতো জাতীয় দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন হতে যাচ্ছে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) ঢাকার পিলখানা সদর দপ্তরে বিদ্রোহের নামে তৎকালীন বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদসহ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ মোট ৭৪ নিহত হন।
সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ গুম এবং পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ওপরও নির্যাতন চালানো হয়। দেশের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা ওই নৃশংস ঘটনাকে দেশের সার্বভৌমত্বের ওপর প্রথম বড় ধরনের আঘাত হিসেবেই মূল্যায়ন করে থাকেন। অন্তর্র্বতী সরকারেরও মূল্যায়ন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধেও বাংলাদেশ একসঙ্গে এত জন সেনা কর্মকর্তাকে হারায়নি।
এই ভয়াবহ ঘটনায় স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় শপথ গ্রহণকারী দেশের সুরক্ষা কবচ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হারায় তার মেধাবী ও দেশপ্রেমিক কর্মকর্তাদের, যা সমগ্র সশস্ত্র বাহিনীর মনোবলে বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ দিনটি শুধু বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নয়, পুরো জাতির জন্যই শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে।
দিনটিকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করার প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, হৃদয়বিদারক এবং শোকাবহ দিনটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পালন করা সময়ের চাহিদা।
প্রতিবছর দিনটি যথাযথ মর্যাদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হলে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে, যা শহীদ পরিবারগুলোর অন্তরে সান্ত্বনাবোধ তৈরি করবে। এই দিবসের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও আত্মত্যাগের মানসিকতা জাগ্রত করবে। এ ছাড়া জাতীয় পর্যায়ে সেনাবাহিনীর অবদান এবং আত্মত্যাগ সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। অপরদিকে এই দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরের সেনা সদস্যদের মধ্যে দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা ও পেশাগত দায়িত্বের প্রতি আরো অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার অনুপ্রেরণা জোগাবে এবং শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের আত্মত্যাগ থেকে শক্তি নিয়ে সেনা সদস্যরা জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি আরো দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
2425262728  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net