December 27, 2024, 7:48 am
কুষ্টিয়া পৌরসভার লাহিনী বটতলা এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে নাসির বিশ্বাস (৩৪) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে, কুষ্টিয়া শহরের অদূরে লাহিনী বটতলা এলাকার লাহিনী গ্রামের খন্দকার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির বিশ্বাস কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের কাথুলিয়া গ্রামের সাজ্জাক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি ছিলেন।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৪ বছর আগে লাহিনী বটতলা এলাকার খন্দকার পাড়ার শওকত আলীর মেয়ে সুমাইয়া খাতুন কাঞ্চনকে নিজেই বিয়ে করেন নাসির বিশ্বাস। পরে তাদের সম্পর্ক মেনে নেয় দুই পরিবার।
রোববার (২৩ জানুয়ারি) বিকেলে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান নাসির। পরে সোমবার সকালে তার পরিবার জানতে পারে নাসির মারা গেছে। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
নাসিরের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, নিজেই ঘরের মধ্যে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে নাসির। মরদেহ দড়ি থেকে নামিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এদিকে নিহত নাসিরের ছোট ভাই নাজমুলের দাবি করেন, নাসিরকে হত্যার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে। নাসিরের স্ত্রী সুমাইয়ার প্রথম স্বামী ২০১৪ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। পরে ২০১৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করে নাসির ও সুমাইয়া। আগের পক্ষের একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতে থাকতো এবং সুমাইয়া ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। সুমাইয়া কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে আসায় নাসির শ্বশুরবাড়িতে যায়। নাসিরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। আমি তাদের শাস্তি চাই।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আতিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও লিখিত অভিযোগ করেনি কেউ। আইনানুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Leave a Reply