March 14, 2025, 6:51 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সাবেক দুই উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার ও ড. মো. আনোয়ার হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ড. সাত্তার কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রাসায়নিক প্রযুক্তি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক।
মামলার অপর দুইজন আসামি হলেন যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম।
ড. ইকবাল কবির জাহিদ যবিপ্রবি থেকে আগেই বরখাস্ত হয়েছেন।
দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে গত সোমবার (০৩ মার্চ) মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ইকবাল কবির জাহিদকে অবৈধভাবে যবিপ্রবিতে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদান ও গ্রহণ।
যবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, ইকবাল কবির জাহিদ ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টির অণুজীববিজ্ঞান বিভাগে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিযুক্ত হন। তাকে ওই পদে নিয়োগ দেয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ছিলেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুস সাত্তার।
মামলার বাদী দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালের ওই নিয়োগ বোর্ডে প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং প্রফেসর ড. মোসাম্মৎ ফেরদৌসী বেগম এক্সপার্ট মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারা পরস্পর যোগসাজসে ইকবাল কবির জাহিদকে নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত করেছিলেন। ২০২২ সালে দুদক এই অভিযোগটি আমলে নেয়। তদন্ত শেষে সোমবার এই বিষয়ে মামলা করা হয়েছে।
ড. ইকবাল কবির জাহিদ ২০১৫ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০১৮ সালে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালের ২৯ জুন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগ সমর্থিত নীল দলের আহ্বায়ক মনোনীত হন।
ইকবাল কবির জাহিদ নীল দলের প্যানেল থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে যবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন।
গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে যবিপ্রবি ক্যাম্পাসে ইকবাল কবির জাহিদকে আর দেখা যায়নি। পরে ড. জাহিদসহ দুজন শিক্ষক ও দুজন কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধানে গত ৯ ফেব্রুয়ারি যবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ডের ১০৪তম সভায় সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে বরখাস্ত করা হয় ইকবাল কবির জাহিদকে।
দুদকের মামলার ব্যাপারে বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার ফোন করা হলেও ড. ইকবাল কবির জাহিদ সাড়া দেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল মজিদ বলেন, দুদকের মামলার বিষয়ে তিনি শুনেছেন। তবে কোনো তথ্য জানা নেই।
Leave a Reply