May 22, 2025, 7:28 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
মহেশপুর বিজিবি/১৫ মাসে জব্দ ১১৯ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস লালমনিরহাট ও চুয়াডাঙ্গায় সীমান্ত দিয়ে ১৬ জনকে ঠেলে দিযেছে বিএসএফ রিট খারিজ, ইশরাককে শপথ পড়াতে বাধা নেই ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হওয়া উচিত, নিজের অবস্থান আগের মতোই/জানালেন সেনাপ্রধান মার্কিন অ্যাম্বাসির সহায়তায় কক্সবাজারে ফায়ার সার্ভিসের প্রশিক্ষণ মব রুখে দেয়া ধানমন্ডি থানার সেই ওসি ক্যশৈন্যু মারমাকে পুরস্কৃত করলো ডিএমপি তেলের দাম লিটারে ৩৫ টাকা বাড়লো বুকার জয় করলেন ভারতীয় লেখিকা বানু মুশতাক কুষ্টিয়ায় গাজীকালু-চম্পাবতী মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ১১ একমাসে সারাদেশে ৪৮,৪০০, গড়ে দৈনিক গ্রেপ্তার ১৫৬০ জন

কুমারখালীতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল আত্মসাতের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় তিন বছরেরও বেশী সময় ধরে চারজন অসহায় ও দুস্থ ব্যক্তির নামে সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল) চাল উত্তোলন হলেও ভুক্তভোগীদের কেউই পাননি তাদের নামে বরাদ্দকৃত চাল।
এমন একটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শুক্রবার তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনাটি উপজেলার যদুবয়বা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে ঘটেছে। আর চাল আত্মসাৎ এর এমন অভিযোগ উঠেছে চালের ডিলার ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আকাশ রেজার বিরুদ্ধে।

তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম, ইউনিয়ন সচিব হাফিজুর রহমান ও ২নং ওয়ার্ড সদস্য মতিয়ার রহমানের যোগসাজশে এমন অনিয়ম হতে পারে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা হলেন- মানিক সেখ (কার্ড নং-১২০),মন্টু হোসেন (কার্ড নং ১৩৭),সহিদুল ইসলাম(কার্ড নং ১৮১) ও রুস্তম আলী (কার্ড নং ১৮৮)
এবিষয়ে গত ৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৬ সালে তারা খাদ্য বান্ধব (১০ টাকা দরে ৩০ কেজি চাল) কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত হন। কার্ড করে দেয়ার কথা বলে প্রায় ৩ বছর আগে আইডি কার্ড নিয়েছিল ইউপি সদস্য মতিয়ার। কিন্তু সে চাল তারা পাননি। অথচ নথি বরছে তাদের নামে চাল উত্তোলন অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ড মেম্বর মতিয়ার জানান চেয়ারম্যানের নির্দেশে কার্ড গুলো যাচাইবাছাই করার জন্য সচিবের কাছে দেন তিনি। কিন্তু পরে ডিলার, চেয়ারম্যান আর সচিব মিলে কি করেছে তা তিনি জানেন না।
পরিষদের সচিব ও চাল বিতরণের ট্যাগ অফিসার মোঃ হাফিজুর রহমান জানান,সব কার্ড গুলো ২ নং ওয়ার্ড মেম্বর মতিয়ার কে বুঝে দেওয়া হয়েছিল। যদি অনিয়ম হয়ে থাকে তাহলে মেম্বরই করেছে।
যদুবয়বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল আলম জানান, অনেক গুলো কার্ড রয়েছে। খতিয়ে দেখতে হবে কে পায়নি আর কে পেয়েছে।
এবিষয়ে চালের ডিলার ও জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আকাশ রেজা বলেন তিনি সব সময় ট্যাগ অফিসার হাফিজের মাধ্যমে চাল দিয়ে থাকেন।ফুড অফিসারের সাথে নিয়মিত কথা হয়।যারা চাল পায়নি তারা হয়তো কার্ড হারিয়ে ফেলেছে অথবা তাদের আত্মীয় স্বজন চাল নিয়ে যায়।
তিনি আরো জানান যা বেঁচে থাকে খাদ্য গুদামে ফেরত দেন। বিগত তিন বছরের চাল বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান আকাশ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান জানান, ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net