November 11, 2025, 7:08 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হলো ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে শীতের আগমন, প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হবে: সেনাবাহিনী অনার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্স/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শূন্য থাকে লক্ষাধিক আসন কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা গোয়ালন্দে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

মার্কিন ভিসানীতি : বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এখনই প্রভাব নেই, কারন আমেরিকা এদেশ থেকে পণ্য ক্রয় করে কম

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বাংলাদেশের উপর দেয় ভিসা অবরোধ আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে খুবই সামান্য। তবে দীর্ঘমেয়াদে এর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। মত দিয়েছেন ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও রপ্তানীকারকরা।
বাংলাদেশ ২০২১-২২ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১ হাজার ৪২ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে। বিপরীতে আমদানি করেছে মাত্র ২৮৩ কোটি ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি হয়েছে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৪২ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ছিল ৯০১ কোটি ডলারের বা ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া ৩১ কোটি ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি হওয়া তৈরি পোশাকের ২১ শতাংশ এবং হোম টেক্সটাইলের ১৭ দশমিক ৮৫ শতাংশের গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র।
বেসরকারি সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়রম্যান জায়েদী সাত্তার মনে করছেন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতিতে যেসব শর্ত বা বিধি নিষেধ দিয়েছে তার প্রভাব দেশের রপ্তানি বাণিজ্য বা তৈরি পোশাক খাতে পড়ার সম্ভাবনা নেই।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে পরিমাণ পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে, ওই দেশের জন্য তা খুব বড় অঙ্ক নয়। বেশিরভাগ পণ্য তৈরি পোশাক। বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের পোশাকের মান ভালো, দাম কম। আমেরিকার জনগণ কম দামে ভালো পোশাক পায় বলে তারা কিনে থাকে। এছাড়া তাদের সঙ্গে আমাদের বেশিরভাগ বাণিজ্য বেসরকারি পর্যায়ের। যারা আমাদের পণ্য নিয়ে বিক্রি করে তারা বড় প্রতিষ্ঠান। তাদের লাভের জন্য পণ্য নেয়। তাই বাংলাদেশ বিষয়ে নতুন ভিসানীতি বাণিজ্যে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না।
পোশাক খাতের উদ্যোক্তা ক্ল্যাসিক ফ্যাশন কনসেপ্টের এমডি ও তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি শহীদউল্লাহ আজিম বলেন, আমেরিকা যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে এটা পলিটিক্যাল বিষয়, ব্যবসায়ীরা সবাই এই পলিটিক্সের সঙ্গে জড়িত নয়। তাই এটা ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য তেমন নেতিবাচক কিছু হবে বলে আমি মনে করছি না। এখন যদি কোনো ব্যবসায়ী রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে সমস্যায় পড়ে, সেটি আলাদা বিষয়। সাধারণ ব্যবসায়ীদের কোনো প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, তবে দীর্ঘ মেয়াদি কিছু সমস্যা তৈরি হতে পারে। যেমন এখনই আমেরিকার ভিসা পেতে অনেকের এক বছর লেগে যায়। আগামীতে এই ধরনের জটিলতা আরও বাড়তে থাকবে। তারা যদি যাচাই-বাছাই করে ভিসা দিতে দেরি করে তাহলে অনেক ক্রেতার সঙ্গে নির্ধারিত সময়ে মিটিং করা যাবে না। সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।
আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (অ্যামচেম) সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদ বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিষয়ে যে ভিসানীতি গ্রহণ করেছে এটা তাদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হওয়ার কথা নয়। আর তাদের নীতিতে ব্যবসায়ীদের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো কথা বলা হয়নি। তাই এটি রপ্তানি বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে না। যেহেতু ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে কিছু বলেনি তাই আমরাও এসব বিষয়ে কথা বলতে চাই না। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবে সরকার।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রয়োজনে আমাদের পণ্য নেয় তাই এ ধরনের সিদ্ধান্ত আমাদের বাণিজ্যে কোনো প্রভাব পড়বে না জানিয়ে নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, আমরা যেসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি করি তা বিশ্বের সবচেয়ে ভালো পণ্য। বিশ্বমানের এ পোশাক আমরা তাদের যে দামে দিই তা অন্য কোনো দেশ দিতে পারবে না। এটি তাদের প্রয়োজন। তাই আমাদের কাছ থেকে নেয়। এজন্য আলাদা কোনো বেনিফিট আমাদের দেয় না। তাই নতুন যে নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এটা ব্যবসা-বাণিজ্য বা আমদানি-রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রপ্তানি বেশি এবং আমদানি কম হওয়ায় আমাদের বাণিজ্যে উদ্বৃত্ত থাকে। যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে সহায়তা করে। তা ছাড়া যুক্তরাষ্ট্র থেকে এখন সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসছে।
প্রবাসী আয়ে বরাবরই শীর্ষে থাকত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। তবে সবশেষ দুই অর্থবছরে আরব আমিরাতকে হটিয়ে দ্বিতীয় স্থান দখল করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্র থেকে সর্বোচ্চ ৩০৪ কোটি ৭৩ লাখ ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। সৌদি আরব থেকে এসেছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net