December 6, 2024, 11:01 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া বিশেষ প্রতিবেদন/
পিছিয়ে যেতে পারে দর্শনা-খুলনা রেলপথে ডাবল লাইন প্রকল্পটি। দেশের চলমান ও আসন্ন অর্থনৈতি মন্দা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী মিতব্যয়ী হবার যে আহবান জানান তার প্রেক্ষিতে বেশ কিছূ মেগা প্রকল্পে অর্থ সরবরাহ আপাতত বন্ধের কথা উঠেছে। জানা গেছে তার মধ্যেদর্শনা-খুলনা রেলপথে ডাবল লাইন প্রকল্পটি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পটি পাশ হয় ৭ মে ২০১৮ সালে।
বর্তমানে এ রেল রুটটি বাংলাদেশ রেলওয়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুলনা-দর্শনা সেকশনটি সিঙ্গেল লাইন হওয়ায় পণ্য ও যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় সেকশনটির অপারেশন ক্যাপাসিটি প্রয়োজনের তুলনায় কম। এজন্য ১২৬ কিলোমিটার বিজি রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ করে সেকশনটি ডাবল লাইনে উন্নীত করা প্রয়োজনের পেক্ষাপটে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়। এর মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কানেকটিভিটি তৈরি হবে। বর্তমানে ঢাকা-খুলনা করিডোরের খুলনা-দর্শনা সেকশনে সিঙ্গেল বিজি লাইন সেকশন। এই সেকশনটি খুলনা-ঢাকা, খুলনা-চিলাহাটি এবং খুলনা-রাজশাহী রুটের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৮ থেকে ডিসেম্বর ২০২২ সালে বাস্তবায়ন করার কথা ছিল।
এর জন্য ব্যয় ধরা হয় ৩ হাজার ৬৯০ কোটি টাকা। এটি ভারতীয় দ্বিতীয় এলওসির ঋণ ও সরকারি অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে।প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে জর“রি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য হরিয়ান, ভেড়ামাড়া, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু ব্রিজ ওয়েস্ট, আমনুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও ও রংপুরে তেলভিত্তিক পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপন করার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ রেল লাইনটি নির্মাণ হলে পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোতে এবং সেচসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে দ্র“ত ও সহজে তেল সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
খসড়া উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (ডিপিপি) বলা হয়েছে, ঢাকা-খুলনা করিডোরে খুলনা-দর্শনা সেকশন বর্তমানে সিঙ্গেল বিজি লাইন এটি সরাসরি খুলনা-ঢাকা-খুলনা-চিলহাটি এবং খুলনা রাজশাহী রুটে যুক্ত হবে। প্রকল্পের অধীনে খুলনা-দর্শনা সেকশনে প্রায় ১২৬.২৫ কিলোমিটার বিজি রেলওয়ে ট্রাক ডাবল লাইনে উন্নীত করা হবে। এতে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করা যাবে।
তাছাড়া এই প্রস্তাবিত ডাবল লাইন রেল পথে হরিয়ান, ভেড়ামারা, সান্তাহার, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম স্টেশন, আমানুরা, ফরিদপুর, ঠাকুরগাঁও ও রংপুরের প্রস্তাবিত জ্বালানি ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি পরিবহনেরও সুবিধা থাকবে।
এই ডাবল লাইন রেলপথ স্থাপিত হলে মংলা বন্দরের সঙ্গে রেল যোগাযোগের সুযোগ হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে খুলনা থেকে মংলা পর্যন্ত ৫৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলপথ বসানোর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এর ফলে নেপাল ও ভুটানের আমদানিকারকরাও এই নতুন রেলপথ ব্যবহার করে মংলা বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি করতে পারবেন।
মূল প্রকল্প কার্যক্রমে ১২৬.২৫ কিলোমিটার মূল লাইনের কাজ, ১৪.৪০ কিলোমিটার লুপ লাইন, ৩১৭ মিটার সেতুর কাজ, সিগনালের কাজ, বৈদ্যুতিক কাজ ও ১১০ একর ভূমি অধিগ্রহণের বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
খুলনা জেলার খানজাহান আলী এলাকা ও ফুলতলা উপজেলা যশোর জেলার অভয়নগর ও যশোর সদর উপজেলা, ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ ও কোটচাঁদপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর ও দামুরহুদা উপজেলা এই প্রকল্পের আওতাধীন থাকবে।
Leave a Reply